প্রবাসী ফুটবলারদের হাত ধরে প্রথমবার বিশ্বকাপে কেপ ভার্দে

অবশেষে ইতিহাস গড়ল কেপ ভার্দে। ঘরের মাঠে এসওয়াতিনিকে গতকাল ৩–০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল তারা। আইসল্যান্ডের পর জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে টিকিট কাটল বিশ্বকাপে।
প্রাইয়ার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এদিন খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন কেপ ভার্দের রাষ্ট্রপতি জোসে মারিয়া নেভেস। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের দেখা পায় স্বাগতিকেরা। এগিয়ে দেন ডাচ বংশোদ্ভূত ফরোয়ার্ড ডাইলন লিভ্রামেন্তো। কিছুক্ষণের মধ্যেই উইলি সেমেদোর দুর্দান্ত ভলিতে আসে দ্বিতীয় গোল। যোগ করা সময়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার স্টোপিরা গোল করে ব্যবধান ৩–০ করেন।এরপরই মাঠে শুরু হয় উৎসবমুখর উল্লাস।
গত মাসে ক্যামেরুনকে ঘরের মাঠে ১–০ গোলে হারিয়ে আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে ডি গ্রুপের শীর্ষে ওঠে কেপ ভার্দে। তখনই জানা ছিল, শেষ দুই ম্যাচের যেকোনো একটিতে জিতলে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে তারা। গত বুধবার লিবিয়ার বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করলে বাড়ে অপেক্ষা। এসওয়াতিনির বিপক্ষে আর কোনো ভুল করেনি। ১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই শেষ করে বাছাইপর্ব।
প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ জনসংখ্যার আটলান্টিক মহাসাগরের এই দ্বীপপুঞ্জ কেপ ভার্দে ১৯৭৫ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৮৬ সালে পায় ফিফা সদস্যপদ। বিশ্বকাপের জন্য তারা প্রথম চেষ্টা করেছিল ২০০২ সালে, কিন্তু তখন ব্যর্থ হয়। এরপর ধীরে ধীরে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে(আফকন) দারুণ উন্নতি করে তারা।২০১৩ ও ২০২৩ দুই আসরেই পৌঁছায় কোয়ার্টার ফাইনালে।
আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে প্রবাসী ফুটবলারদের দলে নিতে শুরু করে কেপ ভার্দে। বর্তমান স্কোয়াডে ডাচ, পর্তুগিজ, আইরিশ, ফরাসি বংশোদ্ভূত অনেক খেলোয়াড় রয়েছে তাদের। স্বপ্নও পূরণ হলো প্রবাসীদের হাত ধরে।